Wednesday, December 2, 2015

অবশেষে মুখ খুললেন মোদি

অবশেষে মুখ খুললেন মোদি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যে কোনও অত্যাচারের ঘটনাই দেশ ও সমাজের গায়ে কলঙ্ক, যার ব্যথা সকলের অনুভব করা উচিৎ। অসহিষ্ণুতা বিতর্কে দেশজোড়া প্রতিবাদের মধ্যে সংসদে এমনই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অসহিষ্ণুতা নিয়ে উত্তাল জাতীয় রাজনীতি। প্রধানমন্ত্রীর নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। ঝড় উঠেছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনেও। অসহিষ্ণুতা নিয়ে সেখানে বিবাদমান বিতর্কে সামিল শাসক ও বিরোধীরা। এমতাবস্থায় এই ইস্যুতে মুখ খুললেন মোদি। এদিন রাজ্যসভায় জবাবি বক্তৃতায় মোদি জানান, একতা ও সম্প্রীতিই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা। এপিবি আনন্দের এক প্রতিবেদনে এখবর দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের ১২৫ কোটি ভারতীয়র দেশপ্রেম নিয়ে কোনও প্রশ্ন তোলাই উচিৎ নয়। দেশপ্রেম প্রমাণ করতে কারও কোনও সার্টিফিকেট পেশ করার প্রয়োজন নেই।’ সম্প্রতি, দেশে অসহিষ্ণুতার আবহাওয়া বইছে বলে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন বহু নামী ব্যক্তিত্ব। অনেকেই নিজেদের পুরস্কার ফিরিয়ে দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। পাল্টা, তাদেরকেও সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছে। শুনতে হয়েছে, ভারতে না পোশালে পাকিস্তানে গিয়ে থাকতে। এদিন এধরনের মন্তব্যকে খারিজ করেন মোদি। বলেন, বিভেদ সৃষ্টি করার জন্য অনেক উছিলা রয়েছে। কিন্তু, দেশকে ঐক্যবদ্ধ রাখার উপায় সকলকেই খুঁজতে হবে। প্রধানমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, সেখানে দেশের স্বার্থ জড়িত, সেখানে রাজনীতির কোনও অবকাশ নেই। এদিন ৪০-মিনিটের বক্তৃতায় মোদি জানান, যে কোনও অত্যাচারের ঘটনাই দেশ ও সমাজের গায়ে কলঙ্ক, যার ব্যথা সকলের অনুভব করা উচিৎ। এধরনের ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে, সেই বিষয়ে সকলের সচেতন থাকাটাই বাঞ্ছনীয়। দাদরি-কাণ্ড থেকে শুরু করে আমির খান-কাণ্ড এদিন কোনও বিশেষ ঘটনাকে উল্লেখ করেননি মোদি। কিন্তু, দেশজুড়ে চলা এই বিতর্কের ইতি টানতে উচ্চকক্ষে ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’ উক্তিকে উদ্ধৃত করে মোদি জানান, সমতা ও ভালোবাসায় প্রচুর শক্তি রয়েছে। আমাদের সেই শক্তিকে চিনতে হবে। সকলের উচিৎ দেশকে কীভাবে আরও উন্নয়নের পথে চালিত করা যায় তা দেখা। এদিন তাই রাজ্যসভার সাংসদদের উদ্দেশ্যে মোদি বলেন, আমি রাজ্যসভাকে বেশি গুরুত্ব দিই। কারণ, এটা প্রবীণদের (রাজনীতিবিদদের) জায়গা। তাই এখানে আলোচনা না করে কোনও কিছুই সম্ভব নয়। তবে, সরকারের বহু গুরুত্বপূর্ণ বিল রাজ্যসভায় আটকে রয়েছে। কারণ, সেখানে সরকার সংখ্যালঘু। তাই এদিন মোদির এই মন্তব্য বিরোধীদের ‘ক্ষোভ প্রশমন’ করার উদ্দেশ্যেই বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এদিকে, মোদির বক্তৃতার পরই দেশের বহুত্ববাদকে রক্ষা করার জন্য এদিন রাজ্যসভায় সর্বসম্মতভাবে প্রস্তাব গৃহীত হয়। ওই প্রস্তাবটি পাঠ করেন রাজ্যসভার অধ্যক্ষ উপ-রাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি।

মূলপাতা

সমগ্র বাংলাদেশ

এক্সক্লুসিভ